তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৪৮ মিনিট) সংঘটিত এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিন্দির্গি শহরের কাছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৯৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল।
তুরস্কের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা (কেএনএ) ও দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা সংস্থা (আফাদ) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কম্পন ইস্তান্বুল, বুরসা, মানসিয়া এবং ইজমির প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে সিন্দির্গি শহরে কিছু বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত আগস্টেও একই মাত্রার ৬.১ ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল তুরস্কে, যার এপিসেন্টারও ছিল সিন্দির্গি শহরের কাছাকাছি। এই ভূমিকম্পের পর থেকে বালিকেসির প্রদেশে ছোট আকারের কম্পনগুলো নিয়মিত হয়ে উঠেছিল।
তুরস্ক ভূগর্ভের টেকটোনিক প্লেটের একটি বড় ফল্টলাইনের ওপর অবস্থিত, যার কারণে সেখানে ভূমিকম্প একেবারে অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ২০২৩ সালে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন এবং হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছিল। একই ভূমিকম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছিল, যেখানে প্রায় ৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
তুরস্কে ভূমিকম্পের এ ধারাবাহিকতা বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়, কারণ এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ ও তীব্রতা দেশটির জনগণের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


