বসুন্ধরা কিংসের ওপর ফিফার নতুন তিনটি দলবদল নিষেধাজ্ঞা

বসুন্ধরা কিংসের ওপর ফিফার নতুন তিনটি দলবদল নিষেধাজ্ঞা

খেলাধুলা ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নেয়ার পাশাপাশি ফিফা থেকে নতুন করে তিনটি দলবদল নিষেধাজ্ঞা এসেছে ক্লাবের ওপর।

ফিফার দলবদল নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল কিংসের সাবেক রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে প্রাপ্য পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগের মাধ্যমে। কোচের অভিযোগের ভিত্তিতে ফিফা ২৭ আগস্ট প্রথমবার দলবদলে খেলোয়াড় নিবন্ধনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রথম নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমে প্রভাব ফেলেনি, কারণ ১৪ আগস্ট দলের মধ্যে দলবদল শেষ হয়ে গিয়েছিল।

ফিফার রেজিস্ট্রেশন ব্যান পোর্টালে ২৩, ২৪ ও ২৮ অক্টোবর নতুন তিনটি নিষেধাজ্ঞা প্রদর্শিত হচ্ছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার সুনির্দিষ্ট অভিযোগকারীর নাম এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাবে খেলা বিদেশি ফুটবলাররা চুক্তিভিত্তিক অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফিফা নতুন তিনটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চলমান আছে এবং প্রথম লেগ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় লেগ শুরুর আগে মধ্যবর্তী দলবদল অনুষ্ঠিত হয়। ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে বসুন্ধরা কিংস তাদের ফুটবলারের দলবদল সম্পন্ন করতে পারবে না, যতক্ষণ না কোচ ও খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করা হয়। দীর্ঘ সময় অর্থ প্রদান স্থগিত থাকলে আরও কঠোর শাস্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

ফিফার রেজিস্ট্রেশন ব্যান পোর্টালে বর্তমানে বাংলাদেশের তিনটি ক্লাবের আটটি নিষেধাজ্ঞা তালিকাভুক্ত আছে। এর মধ্যে চারটি বসুন্ধরা কিংসের, তিনটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এবং একটি সকার ক্লাব ফেনীর। তবে শেখ জামাল ও সকার ক্লাব ফেনী বর্তমানে দেশের ফুটবল মাঠে সক্রিয় নয়।

ফিফার দলবদল নিষেধাজ্ঞা ক্লাবগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত, যা খেলোয়াড় ও কোচদের বকেয়া অর্থ প্রদান না করলে আন্তর্জাতিকভাবে দলবদলে অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করে। বসুন্ধরা কিংসের জন্য এটি সাম্প্রতিক সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ ক্লাবের পরিকল্পিত দলবদল প্রক্রিয়া এবং স্থানীয় ফুটবল মৌসুমের প্রস্তুতি কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

খেলাধূলা