ডিএনসিসি প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠন

ডিএনসিসি প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠন

রাজধানী ডেস্ক:

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের অফিস আদেশের মাধ্যমে; এ তথ্য সিটি কর্পোরেশনের সূত্রে জানা গেছে। (তথ্যসূত্র: ডিএনসিসি, ৩১ অক্টোবর)

কমিটি প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক; সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ১৮টি ওয়ার্ডের প্রকল্প নির্বাহী প্রকৌশলী। কমিটিতে আরও রয়েছেন সংশ্লিষ্ট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জোনের সহকারী প্রকৌশলী। সংস্থার উদ্যোগে গঠিত এই কমিটি সমাপ্তকৃত সড়ক ও ড্রেনেজ কাজগুলো নির্ধারিত নকশা এবং কার্যসম্পাদন মানদণ্ড অনুযায়ী হয়েছে কিনা তা তদারকি, সরেজমিন পরিদর্শন, যাচাই-বাছাই এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ রয়েছে।

প্রকল্প পরিচিতি ও প্রেক্ষাপট: ডিএনসিসির অ্যাপ্রুভড প্রকল্পের শিরোনাম থেকে জানা যায়, এটি ঢাকার নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে সড়ক ও ড্রেনেজ অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের প্রথম ধাপ। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে রাস্তার সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন, ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক নির্মাণ/উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট নকশা অনুযায়ী কাজের পরিমাপ ও মান নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপিত আছে। এসব এলাকা সাধারণত শহরের সম্প্রসারণ বা প্রশাসনিক সীমান্ত পুনর্গঠনের ফলে গত কয়েক বছরে সিটি কর্পোরেশনের অধীনে এসেছে; ফলে মৌলিক অবকাঠামোগত কাজের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কমিটির কার্যপ্রণালী ও দায়িত্ব: অফিস আদেশ অনুযায়ী, কমিটি সমাপ্তকৃত কাজের against ড্রয়িং (drawing) পরীক্ষা করবে—অর্থাৎ বাস্তবে নির্মিত সড়ক ও ড্রেনেজ কি প্রকল্প নকশা ও সঠিক নির্মাণমান অনুসরণ করেছে তা যাচাই করা হবে। যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে থাকবে উপকরণ ব্যবহার, খরচানুষঙ্গিক কাগজপত্র, নির্মাণের প্রযুক্তিগত মানদণ্ড, স্থায়িত্ব সম্পর্কিত মূল্যায়ন এবং স্থলানুভূতিপূর্ণ (site-specific) সমস্যা শনাক্তকরণ। এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রিমিডিয়াল (ত্রুটিমুক্তিকরণ) সুপারিশ, কাজের পরিমাপ সংশোধন ও বকেয়া/অপূর্ণতাগ্রস্ত অংশগুলোর উপর নজরদারির সুপারিশও করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ফলাফল ও প্রভাব: কমিটির নিয়মিত ও পেশাদার যাচাই-বাছাই সফলভাবে সম্পাদিত হলে স্থানীয় পর্যায়ে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার গুণগত মান নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা হ্রাস, চলাচলে সুষ্ঠু ব্যবস্থা এবং সম্পর্কিত জনসাধারণ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে, যাচাই প্রক্রিয়ায় যদি ঘাটতি বা ত্রুটি দেখা যায়, তবে সংশোধন কার্যক্রম শুরু করলে প্রকল্পের সাময়িক বিলম্বের সম্ভাব্যতা থাকতে পারে — যা বাস্তবায়ন সূচি ও অর্থায়নে প্রভাব ফেলতে পারে। কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তদবির গ্রহণ করবে বলে আশা করা হয়।

নজরদারির গুরুত্ব ও স্বচ্ছতার মাত্রা: সিটি কর্পোরেশন সদিচ্ছা এবং প্রকৌশলগত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রাখলেও কার্যকরী বাস্তবায়ন ও স্বচ্ছতা রক্ষায় নিয়মিত জনসচেতনকরণ, প্রকৃতিগত প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক পর্যায়ের পদক্ষেপ গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে নগর সম্প্রসারণ এলাকায় ড্রেনেজ ও রাস্তাঘাটের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্তরের সমন্বিত কাজ ও আর্থ-প্রশাসনিক তদারকি অপরিহার্য বলা হচ্ছে।

পরবর্তী কার্যক্রম: অফিস আদেশে ঠিক আছে যে কমিটি নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠ পরিদর্শন, নথিপত্র যাচাই এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট জোন অফিসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটির ফলাফল অনুযায়ী প্রকল্প সংশোধন বা অনুমোদিত সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবে। তবে অফিস আদেশে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ তারিখ উল্লিখিত কি না সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পরবর্তী তথ্য বিবৃতিতে পাওয়া যাবে।

রাজধানী