জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরের নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের শেষ বিদায় নিতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কফিনবাহী হেলিকপ্টারটি।
হেলিকপ্টারটিতে দলটির নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
বাদ জোহর রংপুর ঈদগাহ মাঠে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরে তার কফিন হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বাদ আসর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কবরস্থানের তাকে সমাহিত করার কথা রয়েছে।
কিন্তু রংপুরের নেতাকর্মীরা জানান, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সমাহিত করতে পল্লীনিবাসের লিচু বাগানে প্রস্তুত করা হয়েছে কবর। সোমবার বিকেল ৩টায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কবর খনন শুরু করা হয়। নগরীর দর্শনা মোড় এলাকার জাতীয় পার্টি কর্মী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, আশরাফ আলী ও রোকনুদ্দিন এবং বালাপাড়া এলাকার জাকির হোসেন ও সবুজ আহমেদ কবরটি পুরোপুরি প্রস্তুত করেন। এখন কবরটি প্রস্তুত রয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এরশাদ স্যার পল্লীনিবাস থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। তাকে পল্লীনিবাসে সমাহিত করে আমরা একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করবো। সেখানে এরশাদের জীবন দর্শন নিয়ে একটি মিউজিয়াম করা হবে। মসজিদ-মাদরাসা কমপ্লেক্স থাকবে। তার সমাধিকে ঘিরে তার জীবন ও কর্মের চেতনার বাতি আমরা দেশে-বিদেশে জ্বালিয়ে দিতে চাই। তার অবর্তমানে তার ভাই জিএম কাদেরের নির্দেশনার আলোকে আমরা জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে চাই।