খেলাধুলা ডেস্ক
স্পিন সহায়ক উইকেটেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে না পারায় বাংলাদেশ সফরের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মোতি। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তিনি।
নিউজিল্যান্ডের পেস সহায়ক কন্ডিশন বিবেচনায় এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটি স্পিন নির্ভরতা কমিয়ে বাড়িয়েছে পেস আক্রমণের শক্তি। দলে ফিরেছেন ডানহাতি পেসার শামার স্প্রিঙ্গার এবং চোট থেকে সেরে ওঠা অলরাউন্ডার ম্যাথু ফোর্ড। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকা রামন সিমন্ডসকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। বাঁহাতি এই পেসার ইনজুরির কারণে গত সিরিজে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি।
শামার স্প্রিঙ্গারের জন্য এ ডাকে শেষ হয়েছে প্রায় এক বছরের অপেক্ষা। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এবার সুযোগ পাচ্ছেন পাঁচ ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে অংশ নেওয়ার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে পেসারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই কারণেই বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আনতে স্প্রিঙ্গারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাথু ফোর্ডের ফেরা দলে ব্যাটিং অর্ডারেও স্থিতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গুদাকেশ মতি বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। তার পরিবর্তে কিউইদের পেস সহায়ক পরিবেশে বাড়তি ফাস্ট বোলার অন্তর্ভুক্ত করাকেই যৌক্তিক মনে করেছে দল ব্যবস্থাপনা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ–নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু হবে আগামী ৫ নভেম্বর অকল্যান্ডে। একই ভেন্যুতে ৬ নভেম্বর হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। এরপর ৯ ও ১০ নভেম্বর নেলসনে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ। শেষ ম্যাচটি ১৩ নভেম্বর ডানেডিনে হবে বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
সিরিজটিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। নির্বাচক কমিটি জানিয়েছে, তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিশ্রণ ঘটিয়ে দল গঠন করা হয়েছে, যাতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাচাই করা যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল:
শাই হোপ (অধিনায়ক), অ্যালিক আথানাজে, আকিম অগুস্তে, রোস্টন চেস, ম্যাথু ফোর্ড, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আমির জঙ্গু, ব্র্যান্ডন কিং, খারি পিয়েরে, রোভম্যান পাওয়েল, শেরফান রাদারফোর্ড, জেডন সিলস, রোমারিও শেফার্ড, শামার স্প্রিঙ্গার।
বিশ্লেষকদের মতে, নিউজিল্যান্ড সফর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে দেখা দেবে। বাংলাদেশে সফলতার পর বিদেশি কন্ডিশনে পেস-নির্ভর বোলিং আক্রমণ কতটা কার্যকর হয়, তা নির্ধারণ করবে দলটির পরবর্তী কৌশল।


