বিনোদন ডেস্ক
বলিউডের নবাগত পরিচালক ও অভিনেতা আরিয়ান খানের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ব্যাডস অফ বলিউড’ সম্প্রতি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে। সিরিজটি দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও জনসমক্ষে বা আনুষ্ঠানিক পরিসরে আরিয়ানকে প্রায়ই গম্ভীর মুখে দেখা যায়। সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—সবসময় এমন ভাবগম্ভীর থাকা কি তার সচেতন সিদ্ধান্ত, নাকি স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য?
সিরিজটির অন্যতম অভিনেত্রী মোনা সিং এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা এক বিশেষ প্রদর্শনীতে খুব চেষ্টা করেছিলাম, আরিয়ান যেন ক্যামেরার সামনে একটু হাসে। কিন্তু সে হাসেনি। এটা পুরোপুরি তার নিজের সিদ্ধান্ত। সম্ভবত ক্যামেরার সামনে নিজের একটি নির্দিষ্ট ভাবমূর্তি তৈরি করতে চায় সে।”
মোনার মতে, বাস্তব জীবনে আরিয়ান খান অনেকটাই ভিন্ন মানুষ। শুটিং সেটে তিনি প্রাণবন্ত, হাসিখুশি এবং সবার সঙ্গে মিশুক আচরণ করেন। মোনা বলেন, “সেটে সে সবসময় চেষ্টা করে যেন সবাই স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারে। সহকর্মীদের সঙ্গে মজা করে, হাসাহাসি করে সময় কাটায়।”
অভিনয়ের ক্ষেত্রে আরিয়ানকে অত্যন্ত মনোযোগী বলে উল্লেখ করেন মোনা সিং। তিনি জানান, প্রতিটি চরিত্রে অভিনয়ের আগে আরিয়ান দীর্ঘ প্রস্তুতি নেন এবং সহ-অভিনেতাদেরও অনুপ্রাণিত করেন। মোনা বলেন, “আরিয়ান নিজের চরিত্রগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে। ওর কাজের প্রতি নিবেদন সত্যিই প্রশংসনীয়।”
‘দ্য ব্যাডস অফ বলিউড’ সিরিজটি আরিয়ান খানের পরিচালনায় প্রথম প্রকল্প। এতে অভিনয় করেছেন মোনা সিং, ববি দেওল, মনোজ পাহওয়া, লক্ষ্য ও রাঘব জুয়েলসহ আরও অনেকে। সিরিজটি মুক্তির পর বলিউডে নতুন প্রজন্মের নির্মাতা হিসেবে আরিয়ানের নাম আলোচনায় এসেছে। সমালোচকরা মনে করছেন, এই সিরিজের মাধ্যমে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান বলিউডে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করার পথে প্রথম সফল পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরিয়ান খানের গম্ভীর ভাবমূর্তি হয়তো তার পরিকল্পিত ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ হতে পারে। বলিউডে অনেক তারকাই নিজেদের ভিন্ন ইমেজ তৈরি করে দর্শকদের মধ্যে আলাদা পরিচিতি গড়ে তোলেন। সেই প্রেক্ষাপটে আরিয়ানের এই নীরব ও সংযত উপস্থিতি হতে পারে তার ব্যক্তিগত স্টাইল এবং পেশাগত কৌশলের অংশ।
সিরিজটি মুক্তির পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে আরিয়ানের পরিচালনা ও অভিনয় নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনা উভয়ই দেখা যাচ্ছে। তবে মোনা সিং-এর মতে, পর্দার পেছনের আরিয়ান খান একজন পরিশ্রমী, পেশাদার ও সহানুভূতিশীল শিল্পী, যার কাজের প্রতি আন্তরিকতা তাকে ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের পথে এগিয়ে নেবে।


