‘ঢাকাইয়া দেবদাস’: পুরান ঢাকার সংস্কৃতি ও জীবনের গল্পে নতুন সিনেমা

‘ঢাকাইয়া দেবদাস’: পুরান ঢাকার সংস্কৃতি ও জীবনের গল্পে নতুন সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক

পুরান ঢাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জীবনধারার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। শুক্রবার রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত বর্ণাঢ্য মহরতের মধ্য দিয়ে ছবিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ছবিটি পরিচালনা করছেন জাহিদ হোসেন, আর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী।

মহরতে চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশকসহ কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়—সেটের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে অতিথি আগমন পর্যন্ত সবকিছুতে ছিল পুরান ঢাকার ছোঁয়া। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল নায়িকা শবনম বুবলীর ঘোড়ার গাড়িতে আগমন, যা পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে নতুনভাবে উপস্থাপন করে।

পরিচালক জাহিদ হোসেন জানান, ছবির গল্পে পুরান ঢাকার ভাষা, সংস্কৃতি, পারিবারিক বন্ধন ও সম্পর্কের টানাপোড়েনকে বাস্তবধর্মীভাবে তুলে ধরা হবে। তার ভাষায়, “আমরা পুরান ঢাকার জীবনযাপন ও মানবিক সম্পর্কের জটিলতা-সরলতাকে একই সঙ্গে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই চলচ্চিত্রে দর্শকরা দেখতে পাবেন সেই ঢাকাইয়া সংস্কৃতির বহুমাত্রিক রূপ।”

ছবির নায়িকা শবনম বুবলী বলেন, “এই ছবির বিষয়বস্তু ও পটভূমি আমার কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। পুরান ঢাকার ভাষা ও সংস্কৃতি ধারণ করে অভিনয় করা একদিকে চ্যালেঞ্জিং, অন্যদিকে আনন্দেরও।” তিনি আরও জানান, দর্শকরা এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢাকাইয়া সংস্কৃতির ভেতরের সৌন্দর্য ও আবেগকে নতুনভাবে অনুভব করতে পারবেন।

মহরতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে বুবলী জানান, তিনি শিল্পী হিসেবে সবসময় নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী এবং প্রতিটি চরিত্রকে আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করেন। তার মতে, জনপ্রিয় জুটি হিসেবে দর্শকদের ভালোবাসা যেমন ছিল, তেমনি স্বাধীন শিল্পী হিসেবেও প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

চলচ্চিত্রটিতে আদর আজাদ ও শবনম বুবলীর পাশাপাশি অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ অভিজ্ঞ শিল্পী। প্রযোজনায় রয়েছে এক্সেল ফিল্মস ও রেভুলেশন মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল।

‘ঢাকাইয়া দেবদাস’-এর চিত্রনাট্য ও সংলাপে স্থান পেয়েছে পুরান ঢাকার স্থানীয় শব্দ, সংস্কৃতি ও প্রথা। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ছবির মাধ্যমে দর্শকরা একদিকে যেমন বিনোদন পাবেন, অন্যদিকে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জীবনধারার অন্তরঙ্গ চিত্রও অনুধাবন করতে পারবেন।

পরিচালক আশা করছেন, সিনেমাটি মুক্তির পর এটি দেশের চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারা যুক্ত করবে এবং স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। শিগগিরই ছবির শুটিং শুরু হবে ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানে।

বিনোদন