জাতীয় ডেস্ক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ১৬টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিবন্ধনের জন্য যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাসমূহের মধ্যে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে যদি কারও কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে তা লিখিতভাবে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে— অর্থাৎ ২৭ নভেম্বরের মধ্যে— সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর জমা দিতে বলা হয়েছে।
ইসি জানায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনসমূহ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালার ৪.৪ (ক) অনুচ্ছেদের আলোকে পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য বিবেচিত সংস্থাগুলোকেই নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
এর আগে চলতি মাসের ৬ নভেম্বর ৬৬টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। নতুন ১৬টি সংস্থা নিবন্ধনের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা দাঁড়ালো ৮২টিতে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নিবন্ধিত দেশি সংস্থাগুলো নির্বাচনের দিন ও পূর্ববর্তী সময় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। তারা ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, গণনা, নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সার্বিক ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে প্রতিবেদন দেবে। পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সংস্থাগুলোকে নির্ধারিত আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, নিবন্ধিত সংস্থাগুলোকে নিরপেক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাদের কাজ হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুণগত মান যাচাই করা, অনিয়ম বা চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং কমিশনকে প্রাসঙ্গিক সুপারিশ প্রদান করা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচনকে অধিকতর স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে সহায়তা করে। কমিশন তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া এবং ভোটকেন্দ্র নির্ধারণসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।


