মোহাম্মদপুরে ভাইরাল ছিনতাই: সেনা অভিযানে মূলহোতাসহ চারজন গ্রেপ্তার

মোহাম্মদপুরে ভাইরাল ছিনতাই: সেনা অভিযানে মূলহোতাসহ চারজন গ্রেপ্তার

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বসিলা ফিউচার সিটি এলাকায় বসিলা আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— ভাইরাল ভিডিওতে দেখা মূল ছিনতাইকারী শাওন (১৯), মহিম আহমেদ (২৪), জুয়েল (২৫) এবং আশিব (২৪)। সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর তারা ঘটনাটি অনুসন্ধানে নামে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে তৎপরতা শুরু করে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরে এক যুবকের ব্যাগ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনাটি নিকটবর্তী সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিও বিশ্লেষণ করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সম্ভাব্য অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শনাক্ত করা ছিনতাইকারীরা এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায়। সম্প্রতি তাদের একজন ঢাকায় ফিরে আসলে সেনাবাহিনী তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকিদের অবস্থান শনাক্ত করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযান চলাকালীন তাদের কাছ থেকে একটি ধারালো সামুরাই উদ্ধার করা হয়, যা ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনার পেছনের পরিকল্পনা ও সহযোগীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, “মোহাম্মদপুর এলাকায় কেউ অপরাধ করলে সে আজ হোক কিংবা কাল আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না। সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত অধিকাংশ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এখনও পলাতক রয়েছে, তাদেরও শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সেনা অভিযানের মাধ্যমে আলোচিত এ ঘটনার আসামিদের গ্রেপ্তারের পর স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের দ্রুত পদক্ষেপ রাজধানীর অপরাধ দমন কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

গ্রেপ্তার চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আইন আদালত