অত্যাধুনিক টর্পেডোর পর মিয়ানমারকে সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত

মিয়ানমারকে নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে যাচ্ছে ভারত। নিজেদের নৌবাহিনীর বহরে থাকা একটি রাশিয়ান সাবমেরিন মিয়ানমারকে হস্তান্তর করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিলো ক্লাসের এই সাবমেরিনটি খুব সম্ভবত এ বছরের মধ্যেই মিয়ানমারে পাঠাবে ভারত। এটি হস্তান্তর হলে মিয়ানমার নৌবাহিনী এটি প্রশিক্ষণে ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, কিলো ক্লাসের এই সাবমেরিনটি ১৯৮০ সালে রাশিয়া থেকে কিনেছিল ভারত। যদিও বর্তমানে সাবমেরিনটিকে আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৯ সাল শেষ হওয়ার আগেই রুশ সাবমেরিনটিকে পুরো আধুনিকায়ন করা হবে এবং মিয়ানমারকে হস্তান্তর করবে ভারত।
এর আগে, চুক্তির দুই বছরের মধ্যেই মিয়ানমারের নিকট সাবমেরিন বিধ্বংসী অত্যাধুনিক হালকা টর্পেডো (টিএএল) ‘শেয়েনা’ হস্তান্তর করে ভারত। গত ১২ জুলাই মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির প্রথম চালান সরবরাহ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

মিয়ানমারে টর্পেডো রপ্তানির জন্য ২০১৭ সালে দেশটির সঙ্গে ৩৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল ভারত। এই চুক্তি অনুসারে টর্পেডোর প্রথম চালান মিয়ানমারে পৌঁছায়। ১৬ জুলাই ভারতের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা নিউজ ওয়েবসাইটে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডায়নামিকস লিমিটেড (বিডিএল) এই উচ্চ প্রযুক্তির টর্পেডো বানিয়েছে। তবে মিয়ানমারে আসা টর্পেডোর সংখ্যা এবং দেশটির নৌবাহিনীর কোন বহরে প্রযুক্তিটি যোগ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এই প্রযুক্তির টর্পেডো ভারতীয় নৌবাহিনীর ২৫ ইউনিটে আছে। এর ওজন ২২০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য দুই হাজার ৭৫০ মিলিমিটার ও ব্যাস ৩২৪ মিলিমিটার। এতে উচ্চমাত্রার ৫০ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক ভর্তি থাকে। একইসঙ্গে এর কার্যকরী দূরত্ব সাত কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৫৪০ মিটার পর্যন্ত।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ