রাজনীতি ডেস্ক
আন্দোলনরত আটটি রাজনৈতিক দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা এবং আদেশের ওপর নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনের পাশাপাশি পাঁচ দফা গণদাবি বাস্তবায়ন। এই কর্মসূচি প্রকাশ করা হয় বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, গতকাল (১১ নভেম্বর) পল্টনে সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।
কর্মসূচির সময়সূচি
-
১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার): ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আট দলের নেতারা সর্বস্তরের জনশক্তিসহ দেশব্যাপী রাজপথে অবস্থান করবে। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দেশপ্রেমিক শক্তিকে রাজপথে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
১৪ নভেম্বর (শুক্রবার): জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
-
১৬ নভেম্বর (রোববার): আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পরে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে আল-ফালাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের অবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালক ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশের খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সারওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মুসা বিন ইজহার, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবুল বাসেত, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানি এবং জাগপার সহ সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দিনগুলোতে নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে এবং দেশের সকল জেলা ও মহানগরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
এই কর্মসূচি জারি হওয়ার ফলে দেশের রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রভাব ও আন্দোলনের ফলপ্রসূতা পর্যবেক্ষণযোগ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন কর্মসূচি রাজনৈতিক সহমর্মিতা, জনগণের প্রতিক্রিয়া এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে।


