ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের পর গণভোটের জন্য তৈরি করা চারটি প্রশ্নকে জনগণের ওপর জবরদস্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই প্রশ্নের মাধ্যমে জনগণের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে এক প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন বলেন, “গণভোটের জন্য যে চারটি প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে, তা জনগণের ওপর জবরদস্তিমূলক। জনগণকে বলছি, আপনি হ্যাঁ অথবা না বলবেন—এটা একটি চাপিয়ে দেওয়া প্রশ্ন।”
তিনি আরো জানান, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের বিষয়টি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় কখনোই উঠে আসেনি।” তার মতে, সংবিধান বাস্তবায়ন আদেশ এবং জুলাই সনদের মধ্যে “বহু গড়মিল” রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই আদেশের আইনি বৈধতা কতটুকু, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।”
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, “সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হতো, কিন্তু এই আদেশের ব্যাপারে জুডিশিয়ারি বিভাগ বলতে পারবে না—আইনি বৈধতা কতটুকু, তা নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা এবং নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ ছিল, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সেখানে স্বাক্ষর করেছেন, অথচ সুপারিশমালায় সেসব অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তাহলে কি তিনি নিজের স্বাক্ষরকে লঙ্ঘন করেছেন?”
তিনি আরও দাবি করেন, “নতুন ধারণা হিসেবে যে সংবিধান সংস্কার পরিষদের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কীভাবে সদস্য হিসেবে আসবেন, তা পরিষ্কার নয়। সংসদ এবং তার সদস্যদের সার্বভৌমত্বের অধিকার রয়েছে। এসব ধারণা সাংঘর্ষিক।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকে সংকটপূর্ণ বলে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন বলেন, “এই দুটি প্রতিষ্ঠান সংকট তৈরি করেছে।”
এদিন দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণভোটের আয়োজন এবং দেশের সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান।


