নির্বাচন নিয়ে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে: জামায়াতের নায়েবে আমির

নির্বাচন নিয়ে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে: জামায়াতের নায়েবে আমির

রাজনীতি ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সরকারের বর্তমান আচরণে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিয়ে গভীর সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রধান উপদেষ্টার গতকাল (১৩ নভেম্বর) দেওয়া ভাষণে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আজ (১৪ নভেম্বর) শুক্রবার সকালে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন ড. তাহের। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সংস্কার এবং কমিশনের সুপারিশের প্রতি অবহেলার এক বড় উদাহরণ। তাহের দাবি করেন, সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশে উল্লেখযোগ্য কাটছাঁট করেছে এবং একটি দলের স্বার্থে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে।

ড. তাহের বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা জনগণের এবং দেশের স্বার্থে অটল থাকবেন এবং কমিশনের সুপারিশ অনুসারে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু ভাষণের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সরকার একটি বিশেষ দলের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা দেশের জনগণের জন্য হতাশাজনক।” তিনি আরও বলেন, “এই আচরণ সরকারের ওপর আমাদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে, এবং আমরা এখন বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।”

এ সময়, জামায়াতের নায়েবে আমির সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, “সরকার লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ব্যাপারে কোনও মনোযোগী নয় এবং তার ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে শঙ্কা এবং অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।”

ড. তাহের বলেন, একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনতে সরকার তিনজন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই উপদেষ্টারা সরকারের সংস্কারের কার্যক্রমকে প্রায় গুরুত্বহীন করে ফেলেছে এবং নির্বাচনের দিন জনগণের অংশগ্রহণে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে তাহের আরও বলেন, “যদি নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়, তবে জনগণ এতে আগ্রহ হারাবে, এবং তা জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জামায়াতের পক্ষে দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন: “গণভোটের রায় ছাড়া জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে না” এবং “গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।” পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের পাঁচ দফা দাবিতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ