রাজনীতি ডেস্ক
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন নির্ধারণ করে সরকার জনগণকে অযথা সংকটে ফেলেছে। তিনি দাবি করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের মতামতকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে পারবে না, এবং জাতীয় নির্বাচন থেকে আগে গণভোট আয়োজন করা উচিত ছিল।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ মন্তব্য করেন। দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের কোনো আইনি বৈধতা নেই। সংবিধান অনুযায়ী, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হওয়া উচিত, কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচন ২০২৪ সালে হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “সংবিধানের অনেক ধারা ও অনুচ্ছেদ এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হলেন, তা স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশে সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই, এবং সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সের ভিত্তিতে যে সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, সেটি কোনোভাবেই ক্ষমতা গ্রহণের বৈধ ভিত্তি হতে পারে না।”
জামায়াত নেতা বলেন, “তাহলে কীভাবে বলা যায় যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনি ভিত্তিতে কাজ করছে? জুলাই সনদই একমাত্র সংবিধানের অংশ হতে পারে এবং এটি মাধ্যমেই সব বিষয়ে আইনি ভিত্তি দেওয়া সম্ভব।”
এ সময় তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণের মতামত নিতে গণভোট আয়োজন করা উচিত, যাতে সরকার প্রকৃত জনগণের ভিত্তি পায়।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, দলের সদস্যরা। এছাড়া, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অন্যান্য নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, জামায়াতে ইসলামী নেতারা দাবি করেন, সরকার জনগণের ইচ্ছা ও সংবিধানের সঠিক অনুসরণ না করে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, যা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। তারা উল্লেখ করেন, নির্বাচনের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে জনগণ বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হবে।
দলটির নেতারা আগামী নির্বাচনে আইনগত ও সাংবিধানিক ভিত্তির পক্ষে দাবি তুলে ধরে আরও বলেন, যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া উচিত।


