খেলাধুলা ডেস্ক
আগামী ১৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইপিএলের ২০২৬ সালের মিনি নিলাম। তার আগে আজ (১৫ নভেম্বর) বিকেলের মধ্যে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তাদের স্কোয়াডে থাকা এবং ছেড়ে দেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে আইপিএলের সর্বশেষ মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার প্রভাব এবারও দলের গঠন ও খেলোয়াড় নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে।
নিলামের আগে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে দলের মধ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। রবীন্দ্র জাদেজা এবং সঞ্জু স্যামসনের দলবদল এই ট্রেডিং উইন্ডোর মূল আকর্ষণ। রবীন্দ্র জাদেজা চেন্নাই সুপার কিংস থেকে রাজস্থান রয়্যালসে ফিরেছেন, যেখানে তার পারিশ্রমিক ছিল ১৪ কোটি রুপি। গত মেগা নিলামে তিনি চেন্নাইয়ে ১৮ কোটি রুপিতে খেলেছিলেন। অপরদিকে সঞ্জু স্যামসন রাজস্থান থেকে চেন্নাইয়ে যোগ দিয়েছেন।
ট্রেডিংয়ে আরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে স্যাম কারান এবং মোহাম্মদ শামির ক্ষেত্রেও। ২.৪ কোটি রুপির পারিশ্রমিকে স্যাম কারান রাজস্থান রয়্যালসে যুক্ত হয়েছেন। সঞ্জু স্যামসন চেন্নাইয়ে ফিরে ১৮ কোটি রুপির সমপরিমাণ মূল্যে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছেড়ে ১০ কোটি রুপিতে লখনৌ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়েছেন।
অন্যান্য খেলোয়াড়দের ট্রেডিংয়ে দলবদলও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শার্দুল ঠাকুর লখনৌ থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ২ কোটি রুপি পারিশ্রমিকে ফিরে এসেছেন। অর্জুন টেন্ডুলকার লখনৌ সুপার জায়ান্টসে ৩০ লাখ রুপিতে যোগ দিয়েছেন, যেখানে তার পারিশ্রমিক আগের চেয়ে পরিবর্তিত হয়েছে। মায়াঙ্ক মারকান্দে কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে ৩০ লাখ রুপিতে মুম্বাইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। নিতীশ রানা রাজস্থান রয়্যালস থেকে ৪.২ কোটি রুপিতে দিল্লি ক্যাপিটালসে স্থানান্তরিত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার দোনোভান পেরেইরা দিল্লি থেকে রাজস্থানে ফিরে পারিশ্রমিক ৭৫ লাখ রুপি থেকে ১ কোটি রুপিতে উন্নীত হয়েছে।
মৌসুমের আগে এই ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের স্কোয়াড ভারসাম্য ও শক্তি পুনর্বিন্যস্ত করেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলটি হার্দিক এবং রোহিতদের নেতৃত্বে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করেছে, যেখানে শেরফান রাদারফোর্ড গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে মুম্বাইয়ে যোগ দিয়েছেন ২.৬ কোটি রুপির পারিশ্রমিকে।
ট্রেডিং এবং মিনি নিলামের এই সংযোগ খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কৌশলগত পরিকল্পনার প্রতিফলন। স্কোয়াড পুনর্গঠন এবং মূল খেলোয়াড়দের অবস্থান নির্ধারণ আগামী মৌসুমে দলের পারফরম্যান্স এবং প্রতিযোগিতার ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।


