বিনোদন ডেস্ক
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা তার ৬০ বছরের সংগীতজীবনে বাংলা, হিন্দি, পাঞ্জাবি, উর্দু ও ইংরেজিসহ মোট ১৮টি ভাষায় গান গেয়ে অসংখ্য শ্রোতাকে মুগ্ধ করেছেন। তার কালজয়ী গানগুলির মধ্যে অন্যতম ‘দমা দম মাস্ত কালান্দার’। এই গানটি নতুন আঙ্গিকে কোক স্টুডিও বাংলার মাধ্যমে শ্রোতাদের সামনে আসছে। গানটি রোববার সন্ধ্যায় প্ল্যাটফর্মটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে।
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজন ঘোষণার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল যে এবার রুনা লায়লা গান গাইবেন। যদিও শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিলেন। গত বছর রুনা লায়লা নিজেই তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন, তবে গানটির বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। সম্প্রতি ১৪ নভেম্বর গানটির টিজার প্রকাশ করা হয় এবং জানানো হয়, ১৬ নভেম্বর পুরো গানটি মুক্তি পাবে।
সংগীত বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গানটির রেকর্ডিং অনেক আগে সম্পন্ন হয়েছে। তবে কোক স্টুডিও বাংলার কার্যক্রম প্রায় এক বছর বন্ধ থাকায় এটি সম্প্রতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই বছর আগে কলকাতায় এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে রুনা লায়লা কোক স্টুডিও টিমের সঙ্গে গানটি পরিবেশন করেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোক স্টুডিও বাংলার মিউজিক কিউরেটর শায়ান চৌধুরী অর্ণব, সুরকার শুভেন্দু দাস শুভ এবং অন্যান্য শিল্পী ও টিম সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গানটির প্রকাশের দিনটি রুনা লায়লার জন্মদিনের ঠিক আগে, যা ধারণা করা হচ্ছে, কিংবদন্তি শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই বিশেষ আয়োজন। এটি কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের অষ্টম গান। এর আগে ২৪ অক্টোবর এই প্ল্যাটফর্মে ‘ক্যাফে’ শিরোনামের গানটি মুক্তি পেয়েছিল।
সংগীত সমালোচকরা মনে করছেন, রুনা লায়লার এই গান নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের কাছে তার শিল্পী হিসেবে অবদান আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করবে। বিশেষ করে কোক স্টুডিও বাংলার আঙ্গিক এবং আধুনিক প্রযোজনার সঙ্গে তার কণ্ঠের মেলবন্ধন নতুনভাবে শ্রোতাদের অভিজ্ঞতা দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
গানের টিজার এবং শেয়ার করা অংশ থেকে জানা যায়, এটি মূল গানটির শৈল্পিক রূপ ধরে রেখেছে, তবে আধুনিক সংগীত উপাদান যোগ করে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করা হয়েছে। কোক স্টুডিও বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গানটি দর্শকরা ইউটিউবে পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মটির সকল ডিজিটাল চ্যানেলে শুনতে পারবেন।
রুনা লায়লার দীর্ঘস্থায়ী সংগীত জীবনে এই ধরনের পুনঃপ্রকাশ তার বৈচিত্র্যময় এবং সময়হীন শিল্পী হিসেবে পরিচিতি আরও দৃঢ় করবে। সংগীতবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলা সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এটি একটি বড় উপহার, যা নতুন প্রজন্মকেও রুনা লায়লার শিল্পী হিসেবে অবদান স্মরণ করাবে।
কোক স্টুডিও বাংলার এই উদ্যোগ শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়াও দেশের সংগীতপ্রেমীদের কাছে ঐতিহ্যবাহী গান নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


