খেলাধুলা ডেস্ক
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) রিটেনশন ও ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের শেষ দিন গত শনিবার পালন করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি দল বড়সংখ্যক খেলোয়াড় হারিয়েছে এবং কিছু খেলোয়াড় ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে নতুন দলে যোগ দিয়েছেন। আলোচিত নামের মধ্যে ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।
চেন্নাই সুপার কিংস ১৮ কোটি রুপিতে (প্রায় ২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা) স্যামসনকে কিনলেও তাকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেনি। স্যামসনকে রাজস্থান রয়্যালস থেকে দলে নেওয়ার পর গুঞ্জন ছিল যে তাকে নতুন অধিনায়ক করা হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত গত তিন আসরের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ই চেন্নাইয়ের নেতৃত্বে থাকবেন। স্যামসন ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রাখলেও এবারের আসরে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তার হাতে আসেনি। তবুও ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে তাকে দেখা হচ্ছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ আইপিএলের মিনি নিলাম। এর আগে ট্রেডিং উইন্ডোর মাধ্যমে কয়েকজন ক্রিকেটার দলে পরিবর্তন হয়েছে। স্যামসনের পরিবর্তে রাজস্থান রয়্যালস স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজা এবং স্যাম কারান। গত মেগা নিলামে ১৮ কোটি রুপিতে ক্রয় করা জাদেজার পারিশ্রমিক এবার ১৪ কোটি রুপিতে নামানো হয়েছে। স্যাম কারানের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২.৪ কোটি রুপি।
২০২৩ সালের আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস পরের মৌসুমে অধিনায়কত্ব মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে হস্তান্তর করেছিল। ওই মৌসুমে দল প্লে-অফে পৌঁছাতে পারেনি। ২০২৫ সালের আসরে রুতুরাজ মাঝপথে চোটের কারণে বাদ পড়েন এবং চেন্নাই দল ভালো করতে পারেনি, শেষ হয়েছে ১০ নম্বরে।
রুতুরাজ গায়কোয়াড় চেন্নাইয়ের ধারাবাহিক ব্যাটারদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ৭১ ম্যাচে ৪০.৩৫ গড় এবং ১৩৭.৪৭ স্ট্রাইকরেটে ২৫০২ রান করেছেন। দলের বর্তমান অবস্থান ও সামনের আসরে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই রিটেনশন ও ট্রেডিং কার্যক্রমের ফলে চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। স্যামসনের অন্তর্ভুক্তি দলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের নেতৃত্বের দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছে। একই সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোয়াডেও জাদেজা ও কারানের অন্তর্ভুক্তি দলের ভারসাম্য ও অভিজ্ঞতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
আইপিএল ট্রেডিং উইন্ডোর মাধ্যমে দলগুলোর এই ধরনের পরিবর্তন ভক্ত ও বিশ্লেষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়িয়েছে, যা আগামী মিনি নিলামে আরও উত্তেজনা যোগ করবে।


