আইন আদালত ডেস্ক
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী রায়ের প্রথম অংশ পাঠ শুরু করেন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সংক্ষিপ্ত রায় পাঠের পর, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে।
এই মামলায় শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক থাকলেও সাবেক আইজিপি মামুন গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। মামুন, যার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ছিল, দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন। তার দোষ স্বীকারের কারণে ট্রাইব্যুনাল তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা এবং কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের মতে, তারা গণহত্যা, উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, হত্যাকাণ্ড এবং লাশ পোড়ানোর মতো অপরাধে জড়িত ছিলেন।
এই মামলার রায়ে জনতার মধ্যে উল্লাস দেখা গেছে। রায়ের ঘোষণার পর, বিভিন্ন এলাকাতে ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থিত লোকজন ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি’ দাবিতে স্লোগান দেয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সতর্ক অবস্থানে ছিল।
এটি ছিল ঐতিহাসিক একটি রায়, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে।


