ভারতীয় মশলা, চা, কাজু, বাদামের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প  অর্থনীতি ডেস্ক

ভারতীয় মশলা, চা, কাজু, বাদামের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প অর্থনীতি ডেস্ক

 আন্তর্জাতিক  ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের কিছু খাদ্যপণ্য, মশলা, চা এবং বাদামের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল (১৬ নভেম্বর) হোয়াইট হাউস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ট্রাম্প এ সংক্রান্ত একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা, এলাচ, হলুদ, আদা, আসাম চা, দার্জিলিং চা এবং অন্যান্য ভারতীয় চায়ের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, বাসমতি চাল, চিংড়ি এবং সামুদ্রিক মাছের ওপর শুল্ক এখনও বহাল রয়েছে।

হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতীয় খাদ্যপণ্য এবং মশলার বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ সহজতর হবে। তবে, রত্ন, অলঙ্কার, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক এখনও কার্যকর থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৮ সালে ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার পরিমাণ গত আগস্টে ৫০ শতাংশে পৌঁছায়। এর ফলে ভারতীয় পণ্য মার্কিন বাজারে অস্বাভাবিকভাবে ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই অতিরিক্ত শুল্কের ফলে নানা ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়, যা বিভিন্ন দেশে খাদ্য সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক প্রত্যাহারের এই উদ্যোগ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ সালে ২০০টি খাদ্যপণ্যকে শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প, যার মধ্যে ভারতীয় এসব পণ্যও রয়েছে।

এছাড়া, ভারতীয় আম, কাজু, বাদাম এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার মার্কিন কৃষি খাতে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, শুল্ক প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক সম্পর্কে সামগ্রিক পরিবর্তন আনলেও, ভারতের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক এখনও কার্যকর রাখার সিদ্ধান্তটি কিছুটা সমালোচিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন ভারতের ব্যবসায়িক সুবিধা বৃদ্ধি করবে, তেমনি এতে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের উপস্থিতিও বাড়বে। তবে, দুই দেশের মধ্যে আরো গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য আরও সমঝোতা প্রয়োজন।

সূত্র: এএফপি

আন্তর্জাতিক