বিসিবির একটি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারত সরকারের অনুমোদন এখনো মেলেনি। এর ফলে বাংলাদেশ নারী দলের জন্য নির্ধারিত সিরিজটি পরিচালনার বিষয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছর ভারত পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করেছিল। তার আগের বছর ২০২৩ সালে মিরপুরে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছিল।
ভারতের বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি অনুমোদন না আসা পর্যন্ত সিরিজ নিশ্চিত নয়। সূত্রের খবর, অনুমোদন না এলে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে বিকল্প সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ভারত।
এই সিরিজটি বাংলাদেশ নারী দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি হিসেবে গণ্য হয়। নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে না পারার ফলে খেলোয়াড়দের মান উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ সীমিত হতে পারে। একই সঙ্গে, এ ধরনের অনিশ্চয়তা খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের নারী ক্রিকেট দলের মধ্যে চলতি সময়ে একাধিক সিরিজ আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকারি অনুমোদনের বিলম্ব সিরিজ আয়োজনের সময়সূচিতে পরিবর্তন ঘটাতে পারে এবং ক্রিকেট বোর্ডকে বিকল্প পরিকল্পনা করতে বাধ্য করতে পারে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে নিয়মিত ম্যাচ আয়োজন দেশের খেলোয়াড়দের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই বাংলাদেশের নারী দলকে স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানোর সুযোগ না পেলে তাদের প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতায় প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমানে বিসিবি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভারত সরকারের অনুমোদনের জন্য প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। অনুমোদন পেলে সিরিজের নতুন সময়সূচি চূড়ান্ত করা হবে। অন্যদিকে, অনুমোদন না আসলে বিকল্প সিরিজ আয়োজন ও প্রস্তুতি কর্মসূচি নির্ধারণের বিষয়েও বোর্ড চিন্তাভাবনা করছে।
বাংলাদেশ নারী দলের জন্য এই ধরনের আন্তর্জাতিক সিরিজ দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনিশ্চয়তার কারণে খেলোয়াড়দের পরিকল্পিত প্রশিক্ষণ ও ম্যাচ অভিজ্ঞতা অর্জনের পথ প্রভাবিত হতে পারে। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা আশা করছেন, সরকার ও ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্রুতই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং সিরিজ আয়োজন নিশ্চিত হবে।


