ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বডি ক্যামেরা বিষয়ে বিভিন্ন পর্যালোচনা করা হয়েছে। মূল বিষয় হলো প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া যাতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয় এবং ব্যয়ের হিসাব সঠিকভাবে নির্ধারিত থাকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বডি ক্যামেরা সরবরাহ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি রেশনালাইজড পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, যা শুধুমাত্র সেনসিটিভ এলাকায় সীমিত থাকবে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পর্শকাতর এলাকায় বডি ক্যামেরা ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। সব এলাকায় এই ক্যামেরা ব্যবহার সম্ভব নয়, কারণ এগুলো মনিটর করা এবং ছবি অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট এলাকার জন্য ক্যামেরা কেনা হবে।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার কথা থাকলেও এখন সংখ্যা কমানো হচ্ছে। ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ঠিক কতটি ক্যামেরা কেনা হবে তা প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে। ক্যামেরার সরবরাহ এবং ব্যবহার শিগগিরই শুরু হবে এবং সম্ভবত আগামী সপ্তাহে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বডি ক্যামেরা ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো এবং নির্বাচনী সময়সূচিতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সময় সম্ভাব্য অশান্তি প্রতিরোধে ক্যামেরার তথ্য গুরুত্ব বহন করবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি বডি ক্যামেরার প্রযুক্তি, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যয়ের খতিয়ান পর্যালোচনা করবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের মান নিয়ন্ত্রণে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বডি ক্যামেরা সংযোজন শুধু স্পর্শকাতর এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে। এই প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হবে এবং তা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।
সংক্ষেপে, বডি ক্যামেরা ব্যবহারের উদ্যোগটি নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা জোরদারের একটি অংশ, যা সীমিত এলাকায় প্রয়োগ করা হবে এবং এর মাধ্যমে কার্যকর মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হবে।


