ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জেলা প্রতিনিধি

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময়সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। তিনি বলছেন, “গত ১৬ বছর ছিল লুণ্ঠনের ইতিহাস।” সভায় তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তার মত প্রকাশ করেন।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচার করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য ছিল। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘের রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তার মতে, দেশের আইনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সভায় তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের একটি গণ-অভ্যুত্থানের উল্লেখ করেন এবং বলেন, সেই ঘটনায় ছাত্র, অভিভাবক ও রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে। মেজর হাফিজ দাবি করেন, এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।

তিনি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনের সময় ভোট প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা ছিল এবং বিরোধী প্রার্থীদের কিছু ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া, তিনি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেন, যেখানে লুণ্ঠন ও লুটপাটের উল্লেখ রয়েছে।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জামায়াতে ইসলামী দলের কার্যক্রম সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। তিনি দলের ইতিহাস ও স্বাধীনতার সময় তাদের অবস্থান সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ও বাস্তব পরিস্থিতি উপস্থাপন করা হয়।

সভায় লালমোহন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুলসহ স্থানীয় বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের মন্তব্য স্থানীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। পাশাপাশি, নির্বাচনী প্রার্থী ও দলের অবস্থান সম্পর্কে সাধারণ জনগণ ও ভোটারদের ধারণা গঠনে এ ধরনের মতামতের প্রভাব থাকতে পারে।

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসন সময়মতো নির্বাচন ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দলীয় কার্যক্রম এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রকাশিত মতামত ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে।

সারাদেশ