টম ক্রুজ পেলেন আজীবন সম্মাননা ট্রফি

টম ক্রুজ পেলেন আজীবন সম্মাননা ট্রফি

 

বিনোদন ডেস্ক

হলিউডের দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ অবশেষে তাঁর প্রথম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (অস্কার) জিতে ইতিহাসে নিজের নাম যুক্ত করলেন। প্রায় তিন দশক ধরে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অ্যাকশন হিরো হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা ৬৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা সম্প্রতি গভর্নর’স অ্যাওয়ার্ডসে আজীবন সম্মাননা ট্রফি গ্রহণ করেন।

টম ক্রুজ চারবার অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন, কিন্তু কোনো প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি অর্জন করতে পারেননি। এবার তিনি যে সম্মাননা পেলেন, তা ‘গোল্ডেন বাল্ডি’ নামে পরিচিত, যা অস্কার ট্রফির একটি অনানুষ্ঠানিক নাম। এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেন অস্কারজয়ী পরিচালক আলেহান্দ্রো জি. ইনারিতু। সম্মাননার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সময় ধরে অবদান রাখা শিল্পীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

টম ক্রুজের অভিনয়জীবন প্রায় চার দশক ধরে চলমান। ১৯৮০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া তাঁর ক্যারিয়ারে ‘টপ গান’, ‘জেরি ম্যাগুইর’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের মতো চলচ্চিত্রগুলোর মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অবদান তাঁকে অ্যাকশন সিনেমার আইকন হিসেবে পরিচিত করেছে। গভর্নর’স অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে তাঁকে প্রদত্ত আজীবন সম্মাননা সেই দীর্ঘ ক্যারিয়ারের স্বীকৃতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অনিল কাপুর টম ক্রুজকে অভিনয়জীবনের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান। অনিল কাপুর বলেন, “প্রিয় বন্ধু, তোমার অভিনয়জীবনের এই সাফল্যে তোমাকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তোমার এই প্রাপ্তি বহু অভিনেতার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে, যারা সিনেমার জন্য নিজেদের সম্পূর্ণ উজাড় করে দেন।”

টম ক্রুজ এবং অনিল কাপুরের বন্ধুত্বের শুরু হয় ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিশন ইম্পসিবল: ঘোস্ট প্রোটোকল’ সিনেমা থেকে। সেসময় তারা একসঙ্গে অভিনয় করেন এবং সেই সময় থেকে তাদের বন্ধুত্ব টেকসই হয়ে দাঁড়ায়। টম ক্রুজের সাম্প্রতিক সম্মাননা প্রাপ্তি এই দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করেছে।

চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, টম ক্রুজের এই সম্মাননা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং আধুনিক হলিউডে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবশালী অভিনেতার অবদানকেও স্বীকৃতি দেয়। তাঁর কর্মকাণ্ড নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। অভিনয়শিল্পে ধারাবাহিকতা, পেশাদারিত্ব এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে টম ক্রুজ প্রমাণ করেছেন যে, দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার অর্জন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেতে হলে ধৈর্য এবং মনোযোগ অপরিহার্য।

এই সম্মাননা প্রাপ্তি বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে টম ক্রুজের মর্যাদা আরও সুদৃঢ় করবে এবং তাকে ভবিষ্যতে নতুন সিনেমা ও আন্তর্জাতিক প্রকল্পের অংশীদারিত্বে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে সাহায্য করবে।

বিনোদন