নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দেশে বসবাসরত ডাকযোগে ভোটদানে যোগ্য নাগরিকদের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নিবন্ধন ধাপে ধাপে অঞ্চলভিত্তিকভাবে পরিচালিত হবে এবং শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর।
নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এই তথ্য জানান। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রবাসী ও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ভোটারদের জন্য ডিজিটালভাবে নিবন্ধনের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যাতে তারা সময়মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
ইলেকশন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিটি অঞ্চলকে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ১৮ থেকে ২৩ নভেম্বর; উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের জন্য ২৪–২৮ নভেম্বর; ইউরোপের জন্য ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর; সৌদি আরবের জন্য ৪–৮ ডিসেম্বর; দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য ৯–১৩ ডিসেম্বর; এবং মধ্যপ্রাচ্যের (সৌদি আরব বাদে) জন্য ১৪–২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশে থাকা যোগ্য ভোটার, যার মধ্যে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদি এবং বিদেশে থাকা অন্যান্য ভোটারদের জন্য নিবন্ধন ১৯–২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকবে।

নির্বাচন কমিশনার জানান, অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে ভোটাররা সহজেই তাদের ভোটারের তথ্য যাচাই করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে পারবেন। এছাড়াও, প্রবাসী ভোটারদের জন্য ডিজিটাল সুবিধা প্রদান করার ফলে বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকরা কোনো জটিলতা ছাড়াই ভোট দিতে পারবে।
পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম প্রয়োগের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে, যা দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলবে। নির্বাচন কমিশন এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চলের ভোটাররা অ্যাপে প্রবেশ করে তাদের তথ্য যাচাই এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশন সময়সূচি অনুসারে পর্যায়ক্রমে আবেদন গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই শেষে প্রবাসী ও অন্যান্য যোগ্য ভোটারদের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা দেবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডিজিটাল পোস্টাল ভোট নিবন্ধন ব্যবস্থা প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে এবং দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোটারদের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করবে। এছাড়াও, সঠিক সময়সূচি এবং অ্যাপের মাধ্যমে সহজ প্রক্রিয়ার কারণে ভোটাররা যেকোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন তথ্যবহুল নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যা ভোটারদের অ্যাপ ব্যবহার, নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করছে। কমিশন আশা করছে, সকল প্রবাসী এবং দেশীয় ভোটাররা এই সুযোগ গ্রহণ করে তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করবেন।


