জাতীয় ডেস্ক
গত এক দিনে দেশে এডিস মশাজনিত রোগ ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একই সময়সীমায় দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ৭৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৭১২ জনে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ১৪২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতোমধ্যেই ৮৪ হাজার ৫৭০ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর মাসিক বন্টন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে ১০ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনজন, মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি। এপ্রিল মাসে সাতজন, মে মাসে তিনজন, জুনে ১৯ জন, জুলাইয়ে ৪১ জন, আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবর মাসে ৮০ জন মারা যান, যা এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। নভেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বাড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে জল জমে থাকা বন্ধ করা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে সময়মতো ভর্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বছরের এই সময় পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বর্ষার পরে ও উষ্ণ মরশুমে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি জরুরি প্রস্তুতি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছে।
চলতি বছরের চলমান সংক্রমণ এবং মৃত্যুর তথ্য থেকে বোঝা যায়, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনসাধারণকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।


