পিসিবিতে হঠাৎ পদত্যাগে শঙ্কা, আজহার আলি ছাড়লেন নির্বাচক ও যুব উন্নয়ন দায়িত্ব

পিসিবিতে হঠাৎ পদত্যাগে শঙ্কা, আজহার আলি ছাড়লেন নির্বাচক ও যুব উন্নয়ন দায়িত্ব

খেলাধুলা ডেস্ক

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন বা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরের ঘটনা বিরল। এ ব্যতিক্রম ঘটেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজহার আলির ক্ষেত্রেও। মঙ্গলবার এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, তিনি পিসিবির নির্বাচক এবং যুব উন্নয়ন বিভাগের প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পিসিবি থেকে প্রকাশিত হয়নি, তবে এই তথ্য ইএসপিএন ক্রিকইনফো নিশ্চিত করেছে।

ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ১২ মাসের মাথায় আজহার আলি পিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগের পেছনে অভ্যন্তরীণ কিছু তানাপোড়েনের খবর রয়েছে, যা মূলত দায়িত্বের মেয়াদ সম্প্রসারণ এবং সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের নিয়োগের সম্ভাব্যতায় কেন্দ্রিত ছিল। ধারাবাহিক গুঞ্জন অনুযায়ী, সরফরাজ পিসিবির মাধ্যমে পাকিস্তান শাহীনস ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান দায়িত্বে নিযুক্ত হতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি ট্রেনিং ক্যাম্প, বিভিন্ন ট্যুর ও আয়োজনের দায়িত্বও নিতে পারেন।

সরফরাজ আহমেদ এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সক্রিয়। এর আগে তিনি বিভিন্ন দলের পরামর্শক ও কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। পিসিবি এবং পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে সরফরাজকে কেন্দ্র করে চলমান আলোচনা আজহার আলির পদত্যাগের পেছনের একটি কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে আজহার আলির পাঠানো পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে পিসিবি।

আজহার আলি পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি পাকিস্তান পুরুষ ক্রিকেটের নির্বাচক প্যানেলে প্রথম দায়িত্ব নেন। এক মাস পর তাঁকে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান করা হয়। পিসিবি তখন ঘোষণা করেছিল, আজহার আলি পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠন, যুব ক্রিকেটের উন্নয়ন, তৃণমূল কাঠামোর শক্তিশালীকরণ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিভা চিহ্নিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া তিনি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন জেলা ও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করবেন এবং পিসিবির ইমার্জিং ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও সচেতনতা কার্যক্রমে তত্ত্বাবধান করবেন।

বর্তমানে পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, যা ১৫ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপপর্বে মুখোমুখি হবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান যুব বিশ্বকাপ ২০০৪ ও ২০০৬ সালে দু’বার জিতেছে।

আজহার আলির পদত্যাগ পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও যুব ক্রিকেট ব্যবস্থাপনায় প্রভাব ফেলতে পারে। সরফরাজ আহমেদের নিয়োগ হলে দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং প্রশিক্ষণ কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পিসিবি এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যুব ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা নির্ধারণের চেষ্টা করবে।

খেলাধূলা