খেলাধুলা ডেস্ক
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছেন। ৯৯ রানে অপরাজিত অবস্থায় ক্রিজে নামা মুশফিকের সঙ্গী ছিলেন আগেরদিন ৪৭ রান করা লিটন দাস। মুশফিক ম্যাথু হাম্প্রিসের প্রথম ওভার ঠাণ্ডা মাথায় কাটিয়ে পরের ওভারে নিজের স্কোর পূর্ণ করে দুই হাত উঁচিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শততম টেস্ট খেলার মাইলফলক স্পর্শ করে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে মুশফিক বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই অর্জনে পৌঁছেছেন। উল্লেখযোগ্য, অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিং শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এই হিসাব অনুযায়ী, শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার ঘটনা এবার ১২তম। মুশফিকের সাথে এই তালিকায় রয়েছেন জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার, যারা নিজেদের শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে মুমিনুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ইনিংসের ২১৪ বল খেলে ১০৬ রান করেন তিনি, যার মধ্যে পাঁচটি চার রয়েছে। তবে এই জয়ে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি; হাম্প্রিসের হালকা বাউন্স ও ঘূর্ণিতে স্লিপে অ্যান্ডি বালবার্নিকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। মুশফিকের আউট হওয়ার পর ভাঙে লিটনের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি এবং বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট ৩১০ রানে।
মুশফিকের সেঞ্চুরির পরপরই লিটন দাস চার হাঁকিয়ে টেস্টে ২০তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বর্তমানে লিটনের সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আগেরদিন স্বাগতিকরা চার উইকেটে ২৯২ রান করে দিন শেষ করেছিল।
মুশফিকের এই সেঞ্চুরি বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি অর্জনের মাধ্যমে তিনি ব্যক্তিগত এবং দেশের জন্য এক বিশিষ্ট রেকর্ড স্থাপন করেছেন, যা ভবিষ্যতে দলের মানসিকতা ও ক্রিকেট কৌশলের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদেরও উৎসাহিত করার পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য নতুন প্রেরণা যোগাবে।
সেই সঙ্গে এই ইনিংস বাংলাদেশের ব্যাটিং depth ও মিডল অর্ডারের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করেছে। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের অব্যাহত পারফরম্যান্স আগামী ইনিংসে দলের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মুশফিকুর শততম সেঞ্চুরির মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেও বাংলাদেশের নাম আলোচিত হয়ে উঠেছে, যা দেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক মানে আরও দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে গেছে।


