বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী অবস্থান চট্টগ্রামে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী অবস্থান চট্টগ্রামে

রাজনীতি ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামে প্যারেড মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী নির্বাচন ও দলীয় অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন। তিনি নির্বাচনের দিন গণভোট না চাওয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, যদি নির্বাচনের দিন গণভোট হয়, তা জেনোসাইডের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই নির্বাচন না হলে দেশে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকট দেখা দিতে পারে, তবে দল হিসেবে তারা কোনো সংকট তৈরি করতে নারাজ। নির্বাচনের সময়সূচি ও সম্ভাব্য কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে তাদের আলোচনা কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নির্বাচনের দিকে। স্থানীয় নির্বাচন এখন সম্ভাব্য নয়, তাই দল কোনো অবাস্তব দাবি সামনে আনবে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট জোট গঠনের পরিকল্পনা নেই, তবে বিভিন্ন দল ও রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হবে।

চট্টগ্রামের সব আসনে জামায়াত প্রার্থীর জয়ের বার্তা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তার প্রধান লক্ষ্য জনগণের জয় নিশ্চিত করা, দলের নয়। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, জনগণের স্বার্থেই দল নির্বাচনভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেবে।

ডা. শফিকুর রহমান পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিতে পিআর (প্রতিরক্ষা রেশন) বাস্তবায়নের দাবির গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, দল ক্ষমতায় এলে জনগণের স্বার্থে পিআরের কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে।

এদিন তিনি চট্টগ্রামের চকবাজারে হেলিকপ্টার যোগে অবতরণ করে প্যারেড মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব বক্তব্য দেন। এছাড়া তিনি নগরের আকবরশাহ থানার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া বড় মাদরাসায় বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষে তিনি রাতেই ঢাকা ফেরার জন্য বিমানযোগে প্রস্থান করেন।

চট্টগ্রাম সফরের এই কার্যক্রমে দলীয় লক্ষ্য ও নির্বাচনী প্রস্তুতি, ভোট প্রক্রিয়া, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের অবস্থান, এবং জনগণের স্বার্থকে কেন্দ্র করে দলীয় সিদ্ধান্তসমূহকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে নির্বাচনের দিন গণভোটের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং সমঝোতা নির্ভর প্রক্রিয়ার উপর জোর দেয়া হয়েছে, যা আগামী নির্বাচনকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

Uncategorized