জাতীয় ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি পাঠিয়ে একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সরকার সূত্রে জানা যায়, একইদিনে ভোট গ্রহণ করা ইসির দায়িত্ব হবে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) ইসি সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “সরকার চিঠিতে জানিয়েছে, গণভোট পরিচালনা ইসির দায়িত্ব। একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচনও যে দিন অনুষ্ঠিত হবে, তা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন আগে জানিয়েছিলেন, সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা প্রাপ্তির পরই গণভোট সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিইসি বলেন, সরকারের চূড়ান্ত নির্দেশনা আসার পর ইসি কার্যক্রম এবং ভোট ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর সঙ্গে গণভোট একই দিনে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া সমন্বয় করতে ইসি প্রস্তুতি শুরু করেছে।
সংবাদে বলা হয়েছে, একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব কার্যকর হলে ভোটার তালিকা, কেন্দ্র বন্টন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নির্বাচন পরিচালনার অন্যান্য দিক সমন্বয় করার প্রয়োজন হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি ইসির জন্য প্রশাসনিক এবং বাস্তবায়নগত দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচনী ক্যালেন্ডার ও ভোট গ্রহণের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য ইসি কতটা প্রস্তুত তা শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বজায় রাখার জন্য ইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এছাড়া, ভোটারদের সচেতনতা ও ভোট কেন্দ্রে প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ইসি প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা কার্যক্রম এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে।
এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার নজির স্থাপন হতে পারে। ইসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের সময়সূচি, ভোটার সুবিধা, নিরাপত্তা ও মনিটরিং ব্যবস্থার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।


