বাংলাদেশে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নেতৃত্ব দেন প্রতিনিধিদলকে।

সাক্ষাৎকালে দুই পক্ষ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এনসিপি প্রতিনিধিদল ভুটানের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগ এই সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠককে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

এনসিপি নেতারা বৈঠকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। এছাড়া, ভুটানের সঙ্গে সাংগঠনিক ও নীতি-নির্ধারণে সহায়তা, শিক্ষাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনাও আলোচনা করা হয়।

এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি রাজনৈতিক সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করার দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের বৈঠক দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে পারে এবং দেশীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বহুপাক্ষিক আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়কে উৎসাহিত করতে পারে।

বাংলাদেশে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতার নতুন দিক উন্মোচন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

এনসিপি নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক দেশের রাজনৈতিক দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পরবর্তীতে এই ধরনের বৈঠকগুলোর ফলস্বরূপ দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের আরো ঘনিষ্ঠতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজনীতি