বাংলাদেশ ও ভুটানের বিনিয়োগ সহযোগিতা আলোচনা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিনিয়োগ সহযোগিতা আলোচনা অনুষ্ঠিত

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতের সময় দুই দেশকে সম্পর্কিত বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিডার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, এই সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, বাণিজ্যিক উদ্যোগের সহায়তা এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং বাণিজ্যিক বিনিময় বাড়ানোর জন্য কৌশল নির্ধারণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে, যা ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্যও নতুন সুযোগের সৃষ্টি করবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং উন্নয়নশীল বিনিয়োগ পরিবেশের প্রশংসা করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার তাগিদ দেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেন।

উভয় পক্ষই এই সাক্ষাতকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। এছাড়া তারা আগামীতে আরও নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে সম্মত হন।

বিডা ও ভুটানের সরকারি কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন এবং তারা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক খাতের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ এবং ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আরও নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। বিশেষ করে, এ ধরনের সংলাপ দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং শিল্প, অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতে যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনা বাড়াবে।

অবশ্য, উভয় দেশের মধ্যে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত বাধাসমূহও রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রাথমিক সমাধান ও নীতিমালা নির্ধারণের উদ্যোগও এই সাক্ষাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

পরিশেষে, সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং নির্দিষ্ট খাতে যৌথ বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব দেন।

অর্থ বাণিজ্য