খেলাধুলা ডেস্ক
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে পর্তুগাল সোমবার টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে পরাজিত করেছে। এই ফলাফলের মাধ্যমে পর্তুগাল প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে অস্ট্রিয়া।
ব্রাজিল ২০১৯ সালের পর থেকে পঞ্চমবারের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল। সেমিফাইনালে তারা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় ঝাঁপিয়ে পড়লেও গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে অ্যাঞ্জেলো কান্দিদোর শট গোলবারে লাগার মতো ঘটনা ঘটলেও নেট জালে পরিণত হয়নি। অন্যদিকে, আনিসিও কাবরালও একাধিক সুয়োগ কাজে লাগাতে পারেননি। ব্রাজিলিয়ান কিপার জোয়াও পেদ্রো একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন এবং পর্তুগিজ ফুটবলারদের সুযোগ রুখে দেন।
প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে ব্রাজিল প্রথম শট নেয়, যা রুখে দেন পর্তুগিজ কিপার রোমারিও কুনহা। মাউরো ফুরতাদোরের শটও জোড়ার মতো প্রতিরোধ হয়। বিরতির পরেও বলের দখল ছিল মূলত ব্রাজিলের কাছে, কিন্তু পরিষ্কার গোলের সুযোগ তারা সৃষ্টি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগালের দলীয় সমন্বয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। সান্তিয়াগো ভার্দির শট গোলবারের পাশ দিয়ে গেলে ইনাসিও বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটও সহজে সেভ করেন ব্রাজিলিয়ান কিপার।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুটআউটে। পর্তুগাল টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে বিজয়ী হয়, যা তাদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ওঠার মুহূর্ত হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এর আগে ১৯৮৯ সালে তারা তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল, যা তাদের সেরা সাফল্য ছিল।
ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া, যারা প্রথম সেমিফাইনালে ২-০ গোলে ইতালিকে পরাজিত করেছিল। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে ইতালির সঙ্গে।
ব্রাজিল এই সাফল্যের মাধ্যমে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন নাইজেরিয়ার সমান হওয়ার সুযোগ পায়নি এবং ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে নতুন শিরোপা জয়ের জন্য। এই ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণাত্মক শক্তি এবং প্রতিরক্ষা উভয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষায় পড়েছে, যা ভবিষ্যতের বিশ্বকাপ পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।
পর্তুগালের এই সাফল্য দেশটির ফুটবলে নতুন দিক উন্মোচন করেছে এবং যুবাদের প্রতিযোগিতামূলক মান বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। ব্রাজিলের অংশগ্রহণও দলের তরুণ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


