গণভোট অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত

গণভোট অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত

জাতীয় ডেস্ক

ঢাকা, মঙ্গলবার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট আয়োজন সম্পর্কিত অধ্যাদেশ অনুমোদিত হয়েছে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো স্থাপন করা হবে।

এর আগে, গত ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট আইন অনুমোদিত হয়। বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে জনগণের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া নির্ধারণে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানানো হয়। এ প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন নির্বাচন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে জনগণের সম্মতি বা প্রত্যাখ্যান জানাতে গণভোট আয়োজন করা হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই গণভোট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে। অধ্যাদেশ অনুমোদনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগতভাবে গণভোট আয়োজনের অধিকার নিশ্চিত হবে। বিশেষ বৈঠকে সরকার আশা প্রকাশ করেছে, কয়েক কার্যদিবসের মধ্যেই অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়ে কার্যকর হবে।

গণভোটের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে জনগণের অভিমত জানতে পারা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তবে আইন প্রণয়নের পর গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি, ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া ও ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত বাস্তবায়ন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আইনগত ভিত্তি মজবুত করার পাশাপাশি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো কার্যকর করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য হলো জনগণের মতামত সরাসরি গ্রহণ করে নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

এই অধ্যাদেশ অনুমোদনের মাধ্যমে নির্বাচনের দিন জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজতর করা সম্ভব হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইন কার্যকর হওয়ার পর নির্বাচন সংক্রান্ত সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে আইন প্রয়োগ, ভোটগ্রহণ ব্যবস্থাপনা এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ওপর।

উপদেষ্টা পরিষদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংবিধানগত কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনী সংস্কার কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ