জাতীয় ডেস্ক
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সাইবার সিকিউরিটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এছাড়া নির্বাচনের সময় চিহ্নিত অপরাধীদের আরও নিবিড় নজরদারির আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এটাই আমাদের চূড়ান্ত বৈঠক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিকনির্দেশনা প্রদান করবে, আর আমরা তা মনিটরিং করব।” তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের জন্য সাইবার সিকিউরিটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনটি ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রভিত্তিক মোতায়েন, মোবাইল টিম এবং সেন্টাল রিজার্ভ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স এই তিনটি ধাপে কাজ করবে। এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি পর্যবেক্ষণের জন্য এনটিএমসির বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্ধারণ করবে, মোবাইল টিম কতটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করবে।
চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের উপর আরও নিবিড় নজরদারি বজায় রাখার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হবে। এতে নির্বাচনী পরিবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ এবং সাইবার মনিটরিং কার্যক্রমের বাস্তবায়ন প্রণালী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো মিথ্যা তথ্য, প্রচারণা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ইসির সমন্বিত মনিটরিংয়ের ফলে নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


