অনলাইন ডেস্ক
রাজধানী ঢাকায় আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির জানান,此次 ভূমিকম্পটি নরসিংদীর ঘোড়াশালে উৎপত্তি হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প, তাই বড় ধরনের কোনো ধ্বংসাত্মক প্রভাব দেখা যায়নি।”
এর আগে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এবং পরের দিন শনিবার ঢাকা ও এর আশেপাশে চারটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে রাজধানী থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয় এবং ৬০০ এর বেশি মানুষ আহত হয়।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে ভূমিকম্প সচরাচর বড় ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করে না, তবে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকা ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্প সংক্রান্ত সতর্কতা এবং নিরাপদ স্থান নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
ঢাকার বাসিন্দারা উল্লেখ করেছেন যে, আজকের ভূমিকম্পে অনেকেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় সাময়িক বিরতি অনুভব করেছেন। সারা দিনের কার্যক্রমে সামান্য বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তবে কোনো উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যগত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
পূর্ববর্তী ভূমিকম্পের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, রাজধানী ও আশেপাশের অঞ্চলে প্রতি কয়েক বছরে স্বল্প থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতা বোঝা যায় এবং ভবিষ্যতে বড় ধরণের ভূমিকম্পের ঝুঁকি নির্ণয়ে সহায়ক হতে পারে।
সরকারি কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন এবং সাধারণ জনগণকে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও নিরাপদ থাকার নির্দেশনা প্রদান করছেন। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি ও স্থাপত্যগত শক্তিশালীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।


