জাতীয় ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জ, সোমবার, ১ ডিসেম্বর: নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হলে কোনো প্রার্থীকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং এই ধরনের ক্ষেত্রে শো-কজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) প্রদান করা হবে না। আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এই মন্তব্য করেন আজ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সায়রা গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আয়োজন সর্বদা সুষ্ঠু ও আইনগত নিয়ম অনুসারে হবে। যেখানে জরিমানা বা কারাদণ্ড প্রয়োজন, সেখানে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা সক্রিয়ভাবে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়াও, এবারের নির্বাচনের সময় কোনো ধরনের পোস্টার অনুমোদিত হবে না এবং তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। নির্বাচন কমিশন সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে, একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
নির্বাচন কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন, কমিশনের একটি মনিটরিং সেল থাকবে যা আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে যেকোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ব্যবস্থার ফলে এবারের নির্বাচন একটি সর্বোত্তম নির্বাচন হবে।
কর্মশালায় নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, উপসচিব মো. মোস্তফা হাসান, এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ, সমস্যার সমাধান ও সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এতে ভোটারদের নিরাপদ ও সুষ্ঠু ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনী সময় যে কোনো ধরনের লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং তৎপরভাবে বাস্তবায়িত হবে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব, নির্বাচনকেন্দ্রে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সমন্বয় এবং ভোট প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্বন্ধে বিস্তৃত প্রশিক্ষণ নেন। এতে নির্বাচনী প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় কৌশল বিষয়ক বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন এবং ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।


