ভারতের কর্ণাটকের একটি চিড়িখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ইতালির নাগরিক নোভা নোবিলিও। চিড়িখানার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন পশু-পাখির ছবি তোলা, তবে তার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। নোভা নোবিলিও জানিয়েছেন, চিড়িখানার স্থানীয় বাসিন্দারা পশুপাখির পরিবর্তে তার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ফলে তিনি চিড়িখানায় আসার মূল উদ্দেশ্য—প্রাণীর ছবি তোলা—প্রায় বাদ দিয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে ছবি তোলার পরিস্থিতিতে পড়েন।
নোভা নোবিলিও ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে তিনি লিখেছেন, “চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম পশুপাখি দেখতে। কিন্তু দেখা গেলো আমিই সেই বিদেশি প্রাণী, যাকে দেখতে সবাই এসেছিল।” এই ভিডিওটি প্রকাশের পর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় দুই লাখ মানুষ এটি দেখেছেন।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনেকে নোভার অভিজ্ঞতাকে আকর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, বিষয়টি বেশ ‘সুন্দর’, আরেকজন জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সরলতা ফুটে উঠেছে। নোভা নোবিলিওকেও বেশ প্রশংসা করা হয়েছে তাদের মন্তব্যে।
চিড়িখানার মতো পর্যটনকেন্দ্রে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ কমপক্ষে স্থানীয় সমাজের আন্তঃসম্পর্ক ও অতিথিপরায়ণতার একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা যায়। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় সংস্কৃতি ও অতিথি আপ্যায়নের পরিচয় দেয়, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেন, সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের ভিডিও প্রকাশকৃত অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক পর্যটন ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের আচরণ ও আতিথেয়তার প্রভাব তুলে ধরে। নোভা নোবিলিওর ভিডিওটি দর্শকদের সচেতন করে যে, কখনও কখনও পর্যটক নিজেই স্থানীয়দের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে, যা পর্যটন অভিজ্ঞতার একটি অনন্য দিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই ঘটনায় চিড়িখানার স্থানীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বিদেশি পর্যটকদের প্রতি স্থানীয় মানুষের উৎসাহ ও আগ্রহের একটি চিত্র হিসেবে ধরা হচ্ছে।
নোবিলিওর অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক পর্যটন ক্ষেত্রেও একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যেখানে পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে আকস্মিক এবং সরল মেলবন্ধন ঘটে। এটি স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যটক আকর্ষণের নতুন দিকও নির্দেশ করছে।


