আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বন্ধে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভেট সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ মস্কো সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সত্যিকারের উদ্যোগ নিয়ে যুদ্ধ বন্ধে কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভেট বলেন, “চুক্তি সম্পন্নের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন অত্যন্ত আশাবাদী। গতকাল ফ্লোরিডায় ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এখন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ মস্কো সফরে যাচ্ছেন।”
গত রোববার স্টিভ উইটকোফ ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও উপস্থিত ছিলেন। এরপর সোমবার তিনি আবারও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ইউক্রেনের প্রধান আলোচক রুস্তেম উমেরোভ বলেন, আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবে কিছু বিষয় এখনও সমাধান হয়নি।
চুক্তি সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়া দনবাসের পুরো অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, তারা কোনো ভূখণ্ড হস্তান্তরে রাজি নয়।
চুক্তি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র দনবাসের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রদান করা হবে। তবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রস্তাবের সমর্থন মার্কিনিরা দেবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রক্রিয়া যুদ্ধ বন্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলেও ভূখণ্ড এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূল বিষয়গুলোতে সমাধান ছাড়া চুক্তি বাস্তবায়ন জটিল হবে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চলমান আলোচনার ফলাফল কেবলমাত্র যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নয়, বরং দুই দেশের রাজনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থানকেও প্রভাবিত করবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এমন আলোচনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তি প্রণয়ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতির উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।


