বিনোদন ডেস্ক
টেলিভিশনের জনপ্রিয় শোতে সম্প্রচারিত সম্প্রতি পর্বে টুইঙ্কল ও কাজলের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অক্টোবর মাসে প্রচারিত এক পর্বে টুইঙ্কল স্বামীদের বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ককে ছোট ভুল হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘ছোট ভুল বলে এড়ানো যায়,’ যা সামাজিক ও নৈতিকভাবে সমালোচিত হয়। এই মন্তব্য পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
মন্তব্যের পর টুইঙ্কল নিজেই স্পষ্ট করেন যে তার বক্তব্য নিতান্তই রসিকতা হিসেবে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘এটা এমন কোনো গুরুতর বিষয় নয়। এটা নিয়ে অহেতুক এত সমালোচনা হচ্ছে। আমরা মজার ছলে এটি বলেছিলাম। যদি একজন ব্যক্তি বা একবিবাহে জীবন অতিবাহিত করতে পারত, তাহলে আমরা ভেবেচিন্তে মন্তব্য করতাম।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে তার বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বা সামাজিক নৈতিকতার পরিপন্থী হিসেবে নেওয়া উচিত নয়।
এর আগে শোয়ের আরেকটি পর্বে উপস্থিত ছিলেন জাহ্নবী কাপুর ও করণ জোহর। ওই পর্বে সঞ্চালিকাদের প্রশ্ন তোলা হয়, ‘মানসিকভাবে ঠকানো নাকি শারীরিকভাবে ঠকানো, কোনটি বড় অপরাধ?’ এই আলোচনাও শোরুমের দর্শক এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিনোদনমূলক টেলিভিশন প্রোগ্রামে এই ধরনের মন্তব্য দর্শকের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে এবং সামাজিক নৈতিকতার সীমারেখা নিয়ে আলোচনা তীব্র করতে পারে।
শোটি সম্প্রচারিত হওয়ার পরপরই দর্শক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিন্নমত প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই টুইঙ্কল ও কাজলের মন্তব্যকে রসিকতা হিসেবে গ্রহণ করেছেন, আবার অনেকে এটিকে সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান সমাজে নৈতিকতা ও ব্যক্তিগত আচরণের প্রশ্নকে নতুন করে আলোচনার মধ্যে এনে দেয়, যা সামগ্রিক সাংস্কৃতিক চেতনা ও দর্শকসংযোগে প্রভাব ফেলে।
প্রসঙ্গত, টেলিভিশন শোগুলোতে সঞ্চালকদের মন্তব্য প্রায়শই দর্শক এবং সামাজিক মিডিয়ার প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। বিশেষত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের মন্তব্য সমাজে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শোর মাধ্যমে উত্থাপিত বিষয়গুলো নৈতিক, সামাজিক এবং মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিয়মিতভাবে আলোচিত হয়।
ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য এবং শো পরিচালনার ধরন বিবেচনা করে প্রযোজকরা হয়তো আরও সতর্ক হবে। এটি দর্শক প্রতিক্রিয়ার প্রভাব এবং সামাজিক নৈতিকতার সীমারেখা অনুযায়ী অনুষ্ঠান পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।


