নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে সুবিধা নেয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধসের মুখে

নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে সুবিধা নেয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধসের মুখে

 

খেলাধুলা ডেস্ক

ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং ধসের মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২৩১ রানে অলআউট হওয়ার পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজও শক্তিশালী শুরু করতে পারেনি। ওপেনার তেজনারায়ণ চন্দরপল ও শাই হোপের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙার পর দলের বাকি ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে আউট হন, শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ম্যাচের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনাররা ১০ রানে ২ উইকেট হারায়। দ্বিতীয় ওভারে জন ক্যাম্পবেল ১ রানে আউট হন। এর আগে জ্যাক ফোকস ৪ রানে বিদায় নেন এবং তার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেট পান। এরপর তেজনারায়ণ চন্দরপল ও আলিক আথানেজ প্রায় ১০ ওভার ক্রিজে দাঁত কামড়ে রুখে দেন, তবে ৫৬ বল খেলার পর ৯ রানে এই জুটি ভেঙে যায়। আথানেজ ৪ রানে ম্যাট হেনরির শিকার হন।

এরপর শাই হোপ ও চন্দরপল ১৯৯ বলে ৯০ রান যোগ করে একটি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। হোপ ১০৭ বল খেলে ৫৬ রান করেন, চন্দরপল ৫২ রানে আউট হন। লাঞ্চের মাঝামাঝি সময়ে এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর বাকি ব্যাটাররা দ্রুত আউট হন। হেনরির জোড়া আঘাতে ১০৬ রানে ক্যারিবিয়ানদের অর্ধেক ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যান। এরপর জ্যাকব ডাফি ২৭ রানে শেষ ৫ উইকেট তুলে নেন। ডাফি ১৭.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন, হেনরি তিনটি উইকেট শিকার করেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরো ইনিংস ১৬৭ রানে শেষ হয়, ফলে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানের লিড নেয়। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি ৮ উইকেট শিকার করে দলের জয় সম্ভাবনা জোরদার করেন।

নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষ করে অক্ষত অবস্থায়। টম ল্যাথাম ১৪ ও ডেভন কনওয়ে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৩২ রান, লিড ৯৬ রানের। এই অবস্থায় দ্বিতীয় দিনের খেলা উদ্বায়ী ও স্থিতিশীল ব্যাটিং প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করে।

ম্যাচের এই পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের পেসাররা ব্যাটিংয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন, বিশেষ করে জ্যাকব ডাফি ও ম্যাট হেনরির আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা বড় স্কোর গড়তে পারেননি। বাকি দিনগুলোতে নিউজিল্যান্ডের লিড ধরে রাখা ও আক্রমণাত্মক বোলিং বজায় রাখা তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

খেলাধূলা