নতুন বছরকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, ১৪৪৭ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ ১৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ভিত্তিতে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং চলতে পারে ২৯ বা ৩০ দিন।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানান, রমজান মাস যদি ৩০ দিনের না হয়, তবুও ইউএইর সরকারি নীতি অনুযায়ী ৩০তম দিনটি ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে ঈদুল ফিতরের ছুটি ১৯ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত টানা চার দিন হতে পারে। জ্যোতির্বিদদের পূর্বাভাসে ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য শুরু দিন ধরা হয়েছে ২০ মার্চ।
২০২৬ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আরও দীর্ঘ ছুটি পাওয়া যাবে। সরকারি ছুটি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আরাফাত দিবস ২৬ মে এবং ঈদুল আজহা শুরু হতে পারে ২৭ মে। এই ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত চলতে পারে। সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হলে বাসিন্দারা সর্বোচ্চ ছয় দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।
তবে অন্যান্য ইসলামি ছুটির মতো, ইউএইতে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে। নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি এসে কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটির দিন ঘোষণা করবে।
এই পরিকল্পিত ছুটির সূচি দেশটিতে সরকারি ও বেসরকারি কর্মসূচি এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলবে। দীর্ঘ ছুটির কারণে ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পর্যটন খাত প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে পর্যটন ও হোটেল খাতে উচ্চ চাহিদা সৃষ্টি হতে পারে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
যুবক ও পরিবাররা এই সময়ে সামাজিক ও ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন। রমজান মাসের শুরুতে ও শেষের দিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, দান ও পরিবারিক মিলনের কার্যক্রম বাড়তে পারে। এ সময় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও তাদের ক্রয়-বিক্রয় পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুযায়ী সমন্বয় করবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসলামি ছুটির এই প্রাক-ঘোষণা নাগরিক এবং বসবাসকারী প্রবাসীদের জন্য পরিকল্পনা এবং ভ্রমণ প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, চাঁদ দেখা নিশ্চিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটির দিন ঘোষণা করা হবে, যা দেশটির প্রশাসনিক ও সামাজিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করবে।
চূড়ান্ত ঘোষণার আগে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের পূর্বাভাস এবং সরকারি নীতি অনুযায়ী ছুটির তারিখের প্রস্তুতি নিতে বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে হবে। এটি ধর্মীয় পালন এবং সামাজিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই ঘোষণার ফলে ২০২৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ধর্মীয় উৎসবের সময়সূচি নির্ধারণ ও স্থানীয় জনগণ এবং প্রবাসীদের পরিকল্পনা সহজতর হবে।


