যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় আগমণ বা প্রস্থানকারী তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দেওয়া এই ঘোষণার মাধ্যমে ওয়াশিংটন কারাকাসের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে।

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ভেনেজুয়েলা যতদিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘চুরি করা’ তেল ও অন্যান্য সম্পদ ফেরত দেবে না, ততদিন এই অবরোধ কার্যকর থাকবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌবহর মোতায়েন রয়েছে, যার মধ্যে একটি বড় বিমানবাহী রণতরী অন্তর্ভুক্ত।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে মাদক পাচার রোধের অজুহাতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে বড় সামরিক উপস্থিতি তৈরি করেছে। তবে ভেনেজুয়েলার সরকার মনে করছে, এই চাপের মূল লক্ষ্য দেশটির বামপন্থি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ মাদুরোকে অবৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এর আগে গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলা থেকে প্রস্থান করা একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন অবরোধ কার্যকর হলে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার তেলসম্পদ বিশ্বে অন্যতম বড়। ওপেকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের তেলের মজুত প্রায় ৩০ হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল, যা বিশ্বের সর্বাধিক। এই সমৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে চাপের মুখে রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন অবরোধের ফলে ভেনেজুয়েলার রপ্তানি ও তেলের বিক্রয় প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে, যা দেশের রাজস্ব ও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, তেলের সরবরাহ সীমিত হলে আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভেনেজুয়েলা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ এবং সামরিক মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাধান বা সহযোগিতা কতটা সম্ভব হবে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ