ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ

জেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা সীমান্ত থেকে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশি যুবক মুন্না মিয়াকে আটক করেছে। মুন্না মিয়া বাউতলা এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে এবং বয়স ২০ বছর।

মুন্নার পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি বেকার এবং মাঝে মধ্যে অটোরিকশা চালান। তিনি নিজে আলাদা ঘরে থাকতেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে ঘরে না পেয়ে পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সীমান্তবর্তী ভারতের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বিএসএফ মুন্নাকে আটক করেছে। খবর পেয়ে মুন্নার পরিবার আগরতলায় থাকা এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিএসএফ ক্যাম্পে তার অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। আত্মীয়রা তাকে উদ্ধার করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান জানান, মুন্না মিয়া চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধভাবে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করেছিলেন। সীমান্তে টহলরত বিএসএফের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ প্রবেশ এবং চোরাকারবারের ঘটনা আগে থেকেই সীমান্ত সুরক্ষার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সশস্ত্র বাহিনী এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নিয়মিত টহল অভিযান চালাচ্ছে। বিশেষত আখাউড়া ও মোগড়া এলাকায় সীমান্তবর্তী সম্প্রদায়কে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা রোধ করতে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্ত পারাপারের ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য নয়, পুরো সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার জন্যও গুরুতর ইস্যু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের ঘটনার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। বিএসএফ ও বিজিবি যৌথভাবে মুন্না মিয়াকে ফেরত আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ