ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ঘোষণা: ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংশোধন ঘোষণা: ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

জাতীয় ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। পরে ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল সংক্রান্ত একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তির সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ইসির সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বে এটি ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত, সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত ছিল। আপিল নিষ্পত্তির সময়সূচি ১০ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে এটি ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি মঙ্গলবার। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ জানুয়ারি বুধবার।

ইসির প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর অধীনে সংসদ গঠন করার লক্ষ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১১-এর দফা (১) অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন করে সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি তদারকি শুরু করেছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষায় কমিশন পর্যবেক্ষক নিয়োগ এবং প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, আপিল নিষ্পত্তি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রতীক বরাদ্দসহ ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

এই নির্বাচনের ফলাফল দেশীয় রাজনৈতিক দৃশ্যপট এবং পরবর্তী সংসদীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ভোটাররা নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার ব্যবহার করবেন। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ব্যবস্থাগ্রহণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

বিএসএস সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। কমিশন সকল প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য নির্বাচনের সময়সূচি এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেছে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার পালন করতে পারেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ