ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন রুমিন ফারহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

গতকাল (শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর) সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। রুমিন ফারহানা বলেন, “মার্কা যাই হোক, সরাইল-আশুগঞ্জ থেকেই নির্বাচন করবো। আমি যা বলি, আমি তাই করি; ভালো হলে ভালো, মন্দ হলে আমার কিছু করার নেই। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, মার্কা যা-ই হোক, নির্বাচন করব আমি।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা পাশে থাকলে আমি বাংলাদেশ জয় করতে পারি, সরাইল-আশুগঞ্জকে অন্য রূপ দিতে পারি, আমার বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। বাকি জীবন আপনাদের পাশে থেকে কাজ করব।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রুমিন ফারহানাসহ অর্ধডজনের মতো নেতা রয়েছেন। তবে এ আসনে এখনও দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রুমিন ফারহানার এই ঘোষণা সম্ভাব্য নির্বাচনী মানচিত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। যদি তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান, তবে এটি দলীয় ভোটভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অতীতে নির্বাচনী জয়ের জন্য প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক দৃঢ়তার ইঙ্গিত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইল ও আশুগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়িয়েছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি স্থানীয় সমর্থক এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করছেন। স্থানীয় নেতৃত্ব ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মতে, এমন পদক্ষেপ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি জনগোষ্ঠী ও ভোটারের বৈচিত্র্যের কারণে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গুরুত্বপূর্ন। সরাইল ও আশুগঞ্জে জনসংখ্যার ঘনত্ব ও ভোটারের সংখ্যার প্রভাব রাজনৈতিক ফলাফলের দিকে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ নির্বাচনী কৌশল ও ভোটভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সমালোচনার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

উল্লেখ্য, বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষিত হয়নি। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করার আগে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত ও প্রার্থী প্রার্থীভূমি বিশ্লেষণ করা হয়। রুমিন ফারহানার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সম্ভাবনা দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ার ওপরও নির্ভরশীল হতে পারে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যদি রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তা আসনের ভোট ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক চিত্রকে নতুনভাবে গঠন করতে পারে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ