অর্থনীতি ডেস্ক
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৭ টাকা। এক ভরিতে এই মূল্য দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণমূল্য হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানায় এবং সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আগের দফায় ১৫ ডিসেম্বরও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। ওই সময় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার ১ হাজার ৫০ টাকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বর্তমান দাম স্থির করা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়ছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ টাকা।
চলতি বছর বাজুস মোট ৮৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে, যার মধ্যে ৬০ বার দাম বৃদ্ধি এবং ২৭ বার দাম হ্রাস করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, গত বছর দেশে স্বর্ণের দাম মোট ৬২ বার সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো এবং ২৭ বার দাম কমানো হয়েছিল।
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি হলেও রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৭৯৯ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্যের ওঠানামা এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্বর্ণের স্থানীয় বাজারের দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের জুয়েলারি শিল্প এবং বিনিয়োগকারীরা এই পরিবর্তনগুলোকে মূল্যায়ন করে ক্রয়-বিক্রয় পরিকল্পনা নির্ধারণ করেন। এছাড়া, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণত গহনা খাত, সঞ্চয় বিনিয়োগ এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হয়।
বাজুসের নিয়মিত মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আপডেট করা হয় এবং এতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য নির্দিষ্ট দাম এবং লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। এর ফলে বাজারে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও মূল্য ওঠানামা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।


