হাদি, হাসনাত ও ব্যারিস্টার ফুয়াদ আওয়ামীপন্থী আইনজীবী নাজিরুল কবিরের সাথে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন

হাদি, হাসনাত ও ব্যারিস্টার ফুয়াদ আওয়ামীপন্থী আইনজীবী নাজিরুল কবিরের সাথে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন

অনলাইন ডেস্ক

নামজাদা আওয়ামীপন্থী আইনজীবী নাজিরুল কবিরের সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও এবি পার্টির সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এসব ছবির মাধ্যমে তাদের নাজিরুল কবিরের সাথে পরিচয়ের বিষয়টি সামনে এসেছে, যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। পোস্টে ছয়টি ছবি কোলাজ করা হয়, যার মধ্যে নাজিরুল কবিরের সাথে শরিফ ওসমান হাদি, হাসনাত আব্দুল্লাহ, ব্যারিস্টার ফুয়াদসহ আরও কয়েকটি ব্যক্তির ছবি রয়েছে। এই ছবিগুলোতে দেখা গেছে, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও হাদি আইনি পরামর্শ নিতে নাজিরুল কবিরের চেম্বারে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

ছবির ক্যাপশনে সায়ের প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের সমর্থকদের সাথে হাদি, হাসনাত, ফুয়াদদের পরিচয় কীভাবে হয়েছে? এ বিষয়টি জানাটা জরুরি।’ সায়ের আরও লিখেছেন, ‘গত রাতে হাসনাতকে ছবিগুলো দেখালে সে অবাক হয়ে জানায় যে, নাজিরুল কবিরের আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না।’

এদিকে, এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে হাসনাত আব্দুল্লাহ সায়েরের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি জানান, ‘ছবি নাম্বার ৪ যুগান্তর অফিসে তোলা। সেখানে একটি ইন্টারভিউতে নাজিরুল কবিরের সাথে পরিচয় হয়। পেশায় তিনি আইনজীবী। ওই সময় যুগান্তরের সম্পাদকও উপস্থিত ছিলেন। আর হাদি ভাইসহ যে ছবিটি রয়েছে, সেটা নাজিরুল কবিরের চেম্বারে আইনি পরামর্শ নিতে গিয়েছিলাম।’

এই মন্তব্যের পর সায়ের হাসনাতকে আবার প্রশ্ন করেন, ‘কিন্তু এই লোকের আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে কি কেউ তোমাকে জানিয়েছিলো? যুগান্তরের সম্পাদক কি জানতেন না, এই ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় কী?’

হাসনাত আব্দুল্লাহ এর জবাবে বলেন, ‘না। আমি এমন কোনো তথ্য জানতাম না। সেখানে যুগান্তরের সম্পাদক ছাড়া আরও অনেক ক্রাইম বিটের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। ছবিতেও তাদের দেখা যাচ্ছে।’

এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, ছবিগুলো রাজনৈতিক পরিচয়ের নয়, বরং কর্মী হিসেবে আইনি পরামর্শ বা পেশাগত কাজে এসব ছবি তোলা হয়েছে। তবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলোর ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি এবং জল্পনা-কল্পনা চলছে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ