নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পর সরাসরি চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এ বিষয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফেরছেন তারেক রহমান। তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনেক জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জনসমাগমের কারণে যাত্রাপথে সংক্ষিপ্ত গণসংবর্ধনা আয়োজন করা হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, জন ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে তারেক রহমান ছুটির দিন বেছে নিয়েছেন। যেকোনও সম্ভাব্য ভোগান্তির জন্য দল ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে এবং জনসাধারণের অসুবিধার জন্য দু:খ প্রকাশ করেছে।
বৃহৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির কার্যক্রম এবং সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ও সচেতনতার নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফেরার পর তিনি দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সময়সূচি অনুযায়ী দলের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন।
এছাড়া, তারেক রহমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিমানবন্দর ও হাসপাতালে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করছে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনা ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তার উপস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব ও সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধিতে কার্যকর প্রভাব ফেলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, তারেক রহমান দেশে ফেরার প্রথম দিনেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যক্রম এবং চিকিৎসাধীন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। এর মাধ্যমে দলীয় নেতৃত্ব ও সমর্থকরা নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পরিকল্পনা নির্ধারণে সক্ষম হবেন।
এভাবে, ১৭ বছর পর দেশে ফেরা তারেক রহমানের পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।


