সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫: লিখিত পরীক্ষা ২ জানুয়ারি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫: লিখিত পরীক্ষা ২ জানুয়ারি


নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫’-এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারীরা ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষার দিন সকাল ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) ও যুগ্মসচিব এ কে মোহাম্মদ সামছুল আহসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ কার্যক্রমটির নাম ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫’ হলেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারীদের আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা (এসএমএস) পাঠানো হবে। এসএমএসটি ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে পাঠানো হবে, যেখানে প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট admit.dpe.gov.bd-এ প্রবেশ করে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড এবং পাশের সন উল্লেখ করে লগইন করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রবেশপত্র ডাউনলোড ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি সঙ্গে আনতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি—জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড—পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রদর্শন করতে হবে। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার সময়সূচি, কেন্দ্রের ঠিকানা, আসন বিন্যাস, ওএমআর শিট পূরণের নিয়মসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন, বই, নোট, আলাদা কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ, হাতঘড়ি কিংবা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব সামগ্রী নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রের বাইরে এসব সামগ্রী রেখে প্রবেশ করার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

এ ছাড়া পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রতারণা বা অসাধু চক্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি বা চক্রের প্রলোভনে পড়ে অর্থ লেনদেন বা অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পরীক্ষার্থীদের শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনার ওপর নির্ভর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্যপদ পূরণ এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে কারণে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা এবং পরীক্ষা-পরবর্তী উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া, প্রবেশপত্র ও পরিচয়পত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা এবং প্রবেশপত্রে উল্লিখিত সব নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করা জরুরি। নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে উপস্থিত হলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ নাও থাকতে পারে।

সব মিলিয়ে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত নিয়ম-কানুন মেনে সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ওপরই এ নিয়োগ কার্যক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ