নিজস্ব প্রতিবেদক
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মো. রাশেদ খাঁনের পদত্যাগের পর, দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে, দলটির সর্বোচ্চ ফোরামের এক জরুরি অনলাইন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় দলের উচ্চতর পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, এবং বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা অংশ নেন। তারা সম্মত হন যে, হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে তাকে পূর্ণাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে কি না, অথবা এ বিষয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে কিনা, সে বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, দলের সভার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসান আল মামুন ছাত্র রাজনীতির অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেন। ওই আন্দোলনে তার নেতৃত্বে ছাত্ররা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে, যা দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
এদিকে, শনিবার সকালেই রাশেদ খান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তে যোগ দেন। বিএনপির সঙ্গে যোগ দিয়ে, রাশেদ খান আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনের অধীনে দলটির আগামী কর্মপরিকল্পনা কী হবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই নতুন নেতৃত্ব দলের ভবিষ্যত রণনীতি এবং সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে আরও নজর দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


